বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
বৈরুত, ০৭ আগস্ট - লেবাননের রাজধানী বৈরুতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। গত মঙ্গলবার বৈরুতে ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত ও প্রায় পাঁচ হাজার আহত হওয়ার পর ধ্বংসযজ্ঞে রুপ নেয়া শহরটির মানুষ এখন ক্ষোভে ফুসে উঠেছে। এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার লেবাননের রাজধানী শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের কাছে অবস্থানরত বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনী। আরও পড়ুন: বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ১৬ বন্দর কর্মী মঙ্গলবারের ওই বিস্ফোরণের পর থেকেই ক্ষোভে ফুসছে মানুষ। সরকারিভাবে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, গুদামে মজুত ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়ান নাইট্রেট বিস্ফোরিত হয়ে মারাত্মক ওই বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সাল থেকে এতগুলো রাসায়নিক অনিরাপদে সেখানে মজুত ছিল। লেবাননের অনেকে অভিযোগ তুলছেন, সরকারের গাফিলতির কারণেই এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণের মুখে পড়তে হয়েছে শহরের মানুষকে। যাতে অসংখ্য মানুষ হতাহত ছাড়াও তিন লক্ষাধিক মানুষ হয়েছে বাড়িছাড়া। শহরটিতে মজুত খাবারের ৮৫ শতাংশ ধ্বংস হয়েছে। যা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ, আতঙ্ক আর হতাশা। মঙ্গলবারের ওই জোড়া বিস্ফোরণ রাজধানীর পুরো জেলাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। বিস্ফোরণের পর শুরু হওয়া সরকারি তদন্তের আওতায় অভিযুক্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা। চারদিনের মধ্যে দোষীদের খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি দেখতে বৈরুত সফরে গেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিদেশি নেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম বৈরুত সফরে গেলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বৈরুতে পৌঁছে বিস্ফোরণস্থলসহ ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাস্তাঘাট ঘুরে দেখেন তিনি। আরও অনেক দেশ লেবাননের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৭ আগস্ট
বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সংঘর্ষ

No comments