করোনায় বহু বিমানের ঠাঁই হয়েছে মরুভূমিতে - live tv online

করোনায় বহু বিমানের ঠাঁই হয়েছে মরুভূমিতে

ক্যানবেরা, ০৪ আগস্ট - করোনা ভাইরাস মানুষের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, খেলা সবখানেই পড়েছে করোনার থাকা। কত মানুষের জীবিকার পথ বন্ধ হয়েছে, আবার কেউ কেউ পেয়েছেন নতুন জীবিকার সন্ধান। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পৃথিবীর সব দেশকেই লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এরসঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তো ছিল। সব মিলিয়ে মানুষ থেকে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়। এর প্রভাবে বিমান চলাচলও দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে। এখন তা ধীরে ধীরে চালু হওয়ার পথে। তবে স্বাভাবিক হতে এখনও বহু দেরি বলেই মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়ায় দুর্যোগ ঘোষণা, মেলবোর্নে কারফিউ এমন পরিস্থিতিতে কোনো কোনো এয়ারলাইন তাদের অনেক উড়োজাহাজ বিশ্বের একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসিয়ে রেখেছে। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় এয়ারলাইন্স কোয়ান্টাস তাদের সর্বশেষ বোয়িং ৭৪৭ বিমানটিকেও সিডনি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় মোহাভি মরুভূমিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। বিমানটি আকাশে উড়ছিল প্রায় অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে আর এতে চড়েছে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কোয়ান্টাস তাদের এ-৩৮০ সুপার জাম্বো বিমানগুলোকেও অন্তত ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোহাভি মরুভূমিতে ফেলে রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ব্যাপক সংখ্যক বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স তাদের বিমানগুলোর উড়ান বন্ধ করে দিয়ে সেগুলো মাটিতে বসিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এসব উড়োজাহাজ রাখার জন্যেও যথেষ্ট জায়গা না থাকায় কোনো কোনো কোম্পানি বেছে নিয়েছে শুষ্ক মরুভূমির মতো প্রত্যন্ত এলাকাকে। এরকম জায়গাকে বলা হয় এয়ারলাইনের গোরস্তান বা বোনইয়ার্ড। এখানে বিমানগুলোকে লম্বা সময়ের জন্যে পার্ক করে রাখা হয় অথবা বসিয়ে রাখা হয়। পরে এগুলোকে আবার সার্ভিসে ফিরিয়ে আনা হয় অথবা ভেঙে টুকরো টুকরো করে সেসব পার্টস বিক্রি করা হয়। বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত এরকম কিছু জনপ্রিয় পার্কিং স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও অস্ট্রেলিয়ায় মরুভূমির মতো বিস্তৃত এলাকায় অবস্থিত। এসব এলাকায় বাতাসের কম আর্দ্রতা, কম এয়ারসল এবং বায়ু কণিকার কারণে বিমানের পার্টস দীর্ঘ সময় ধরে অক্ষত থাকে। এভিয়েশন বা বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারির কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স যেভাবে তাদের বিমান বোনইয়ার্ডসে বসিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে- এরকম ঘটনা সাম্প্রতিক ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। এভিয়েশন বিষয়ক লন্ডনভিত্তিক একটি কোম্পানি সিরিয়ামের হিসেবে এপ্রিল মাসে সারা বিশ্বে ১৪ হাজারেরও বেশি যাত্রীবাহী বিমান বসিয়ে রাখা হয়েছিল। সারা বিশ্বে যতো বিমান চলাচল করে এই সংখ্যা তার দুই তৃতীয়াংশ। এর আগেও নানান ঘটনায় বিমান চলাচল নাটকীয়ভাবে কমে গিয়েছিল। কিন্তু এবারের মতো পরিস্থিতি এর আগে কখনোই সৃষ্টি হয়নি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৪ আগস্ট

করোনায় বহু বিমানের ঠাঁই হয়েছে মরুভূমিতে

No comments

Featured Post

Phirki Full Episode 2021

Phirki Full Episode 2021 Zee Bangla is an Indian broadcast channel for general entertainment in the Bengali language . As part of the Esse...

Powered by Blogger.